গর্ভাবস্থায় Mood Swing এর সমস্যায় ভুগছেন? মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই সহজ পদ্ধতি

গর্ভাবস্থায় সব থেকে সাধারণ একটি সমস্যা হল মড সুইং। এই সময় গর্ভবতীরা প্রায়শউ মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। সব কাজে বিরক্তি, অস্থিরতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই মানসিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এই পাঁচ উপায়। জেনে নিন কী করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

গর্ভাবস্থায় Mood Swing এর সমস্যায় ভুগছেন মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই সহজ পদ্ধতি

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে সন্তান। এই সময়টা সব মেয়ের কাছে সব থেকে সুন্দর সময়। তবেই এই দীর্ঘ ৯ মাস য় নানান শারীরিক জটিলতা, নানান কষ্ট সহ্য করে সন্তানের জন্ম দিতে হয়। এই সময় শারীরিক ও মানসিক উভয় সমস্যা দেয়। গর্ভাবস্থায় সব থেকে সাধারণ একটি সমস্যা হল মড সুইং। এই সময় গর্ভবতীরা প্রায়শউ মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। সব কাজে বিরক্তি, অস্থিরতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই মানসিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এই পাঁচ উপায়। জেনে নিন কী করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 

গর্ভাবস্থায় রোজ সঠিক খাবার খান। খারাপ খাদ্যাভ্যাস থেকে খিটখিটে স্বভাব দেখা দেয়। রোজ নিয়ম করে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল -সহ একাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে মেজাজের এমন পরিবর্তন থেকে মুক্তি পাবেন। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার শরীরের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

এক্সারসাইজ করুন নিয়ম করে। গর্ভবতী মহিলাদের সব সময় এক্সারসাইজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এই সময় অবশ্যই এক্সারসাইজ করবেন। আর মেডিটেশন করুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। 


রোজ পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। দিনে অবশ্যই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন। ঘুম সঠিক না হলে সারাদিন খিটখিটে স্বভাব দেখা দেয়। তাই রোজ ৮ ঘন্টা করে ঘুমান।

প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। অধিকাংশ মেয়েই এই সময় জীবনে একঘেঁয়েমি অনুভব করেন। এই সময় বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করুন। মন খুশি রাখার চেষ্টা করুন। তবেই মুক্তি পেতে পারেন মুড সুইং এর সমস্যা থেকে। যতটা পারেবেন মানসিক সুস্বাস্থ্য ভালো রাখার দিকে খেয়াল দিন। 

যদি সমস্যা বড়় আকার নেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘ ৯ মাস সব মেয়ের উচিত চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা। এই সময় বারে বারে মেজাজ পরিবর্তন হলে ডাক্তার দেখান। এই সমস্যা ফেলে রাখবেন না। এই সময় শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্য ভালো রাখা দরকার। 

গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া, পুরো সময়টা প্রতি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হয় মেয়েদের। নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া, ওষুধ, এক্সারসাইজ -সবই করতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। এই সময় মেয়েদের বিশেষ নজর দিতে হয় খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে। কোন খাবার গর্ভস্থ বাচ্চার বিকাশ ঘটাবে, কোন খাবার তার জন্য ক্ষতি কর সব জেনে চলতে হয় প্রতিটি পদক্ষেপ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url